চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
সরকারি নির্দেশনা থাকলেও চুয়াডাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ধান কেনা শুরু হয়নি। সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে না পেরে কৃষকদের মধ্যে উপযুক্ত মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, খোলাবাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। আর খাদ্য বিভাগ বলছে, নানা জটিলতায় কৃষকের মাধ্যমে ধান কেনা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তারা। ধান উৎপাদনে সমৃদ্ধ জেলা চুয়াডাঙ্গার মাঠে-ঘাটে পাকা ধানের ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে চারপাশে। বাতাসে দুলছে ধানের সোনালি শিষ। দাবদাহের মাঝেও সবাই ধান কাটা আর মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকের চোখেমুখে এ যেন এক অন্যরকম হাসি। কারণ, বছরের বোরো মৌসুমের এই ধান বিক্রির টাকায় পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে স্বপ্ন বুনেছেন কৃষক। সোনার ধানে ঘর-আঙিনা ভরে উঠলেও কৃষকের মুখে নেই হাসি। শ্রমে-ঘামে ফলানো ধান বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে কৃষকের হাসি মলিন হচ্ছে। লোকসানের গ্যাঁড়াকলে পড়ে মৌসুমের বোরো ধানের দামের তেতো অভিজ্ঞতায় জেলার অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক।
চুয়াডাঙ্গা সদরের হাতিকাটা গ্রামের কৃষক জনি মিয়া। ১০ বিঘা জমি থেকে ধান সংগ্রহে ব্যস্ত এখন। কিন্তু নগদ অর্থের প্রয়োজনে এরই মধ্যে সংগ্রহ করা ধানের কিছু অংশ বিক্রি করতে হচ্ছে তার। তবে উৎপাদন খরচ অনুপাতে বিক্রি করতে পারেননি। জনি মিয়া বলেন, সরকারের যে ধানের দর সেটাতেও বিক্রি করতে পারি না সিন্ডিকেটের কারণে। ৮৫০-৯০০ টাকা সর্বোচ্চ বিক্রি করা যায়। যার কারণে আমরা লাভবান হতে পারি না। সরকারনির্ধারিত মূল্যে প্রতি মণ ধানের দাম এক হাজার ২৮০ টাকা হলেও বাইরে অনেক কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। খোলাবাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়, যা থেকে উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে দাবি কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার চুয়াডাঙ্গায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। জেলায় চলতি মৌসুমে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর থাকলেও আবাদ হয়েছে ৩৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এর মধ্যে জেলার চার উপজেলায় শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে।’ এবারও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি তার। জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সুপ্রকাশ চাকমা বলেন, সকল জটিলতা কাটিয়ে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরোদমে প্রকৃত কৃষকের থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হবে।
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আর সমন্বয়ের অভাবে এখনও সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে না পেরে কৃষকদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকারনির্ধারিত মূল্যে প্রতি মণ ধানের দাম এক হাজার ২৮০ টাকা হলেও বাইরে অনেক কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। খোলাবাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়, যা থেকে উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে দাবি কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার চুয়াডাঙ্গায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। জেলায় চলতি মৌসুমে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ৩৪ হাজার ৮০০ হেক্টর থাকলেও আবাদ হয়েছে ৩৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, এর মধ্যে জেলার চার উপজেলায় শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এবারও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি তার। জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সুপ্রকাশ চাকমা বলেন, সকল জটিলতা কাটিয়ে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরোদমে প্রকৃত কৃষকের থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

চুয়াডাঙ্গায় ধানের বাম্পার ফলন ॥ ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা
- আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০২:৫০:২৬ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৪ ০২:৫০:২৬ অপরাহ্ন


কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ